ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন এবং তথ্য

ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন এবং তথ্য

ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন এবং তথ্য

দেশে এই প্রথম বহুল আলোচিত এবং আকাঙ্ক্ষিত ই পাসপোর্ট চালু হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট এর যুগে পদার্পণ করল। এখন আমরা এই পাসপোর্ট সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেবো সাধারণ এমআরপি পাসপোর্ট এবং ই- পাসপোর্ট এর মধ্যে দৃশ্যমান তেমন কোন পার্থক্য থাকবে না। সাধারন এমআরপি পাসপোর্ট হল ই পাসপোর্ট এর আগে যে পাসপোর্ট গুলো সাধারণত করা হয়েছিল। এবং এমআরপি পাসপোর্ট কে ই পাসপোর্টে রূপান্তর করিতে হলে আগের এমআরপি পাসপোর্ট এর সকল তথ্য ই পাসপোর্টে জমা দেওয়া লাগবে। এবং অতিরিক্ত ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি যুক্ত করা লাগবে।

ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন এবং তথ্য

পাসপোর্ট হোল্ডার এর যে তথ্যগুলো থাকবে ই -পাসপোর্ট এর স্থলে থাকবে। একটি পলিমার এবং এন্টেনার কার্ডের মধ্যে থাকবে। এর মধ্যে পাসপোর্ট হোল্ডার সকল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে ডাটাবেজে  এবং চোখের মণির ছবি থাকবে ফলে ভ্রমণকারী তথ্য কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই জানতে পারবেন। এই পাসপোর্ট এর সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে প্রক্রিয়া খুব সহজ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। তবে ই- পাসপোর্ট এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুবিধা পেতে হলে কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হবে।

ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন

ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে হলে গ্রাহককে www.epasspot .gov.bd ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে হবে।প্রথম ধাপে বর্তমান ঠিকানার জেলা শহরের নাম ও থানার নাম নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে ব্যক্তিগত তথ্য সম্বলিত ই-পাসপোর্টের মূল ফরমটি পূরণ করে সাবমিট করতে হবে।

তৃতীয় ধাপে মেয়াদ ও পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা অনুযায়ী ফি জমা দিতে হবে। তবে বর্তমানে ই-পাসপোর্টের অনলাইন পেমেন্ট বন্ধ রয়েছে। আবেদনপত্র জমা দিয়ে অ্যাপোয়েনমেন্ট ডেটের আগে অফলাইনে অর্থাৎ সরাসরি নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে ই-পাসপোর্টের ফি জমা দিতে হবে। 

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে এবং তার পৃষ্ঠা সংখ্যা কত । পাসপোর্ট মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হল ৪৮ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট আরেকটি হলো ৬৪ পৃষ্ঠা পাসপোর্ট ।

আপনি দু ধরনের পাসপোর্ট পাবেন একটা হচ্ছে পাঁচ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট অন্যটি হচ্ছে ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট।

এখন পাঁচ বছর মেয়াদী পাসপোর্ট করতে কত টাকা খরচ হবে দেখে নেব ৪৮ পৃষ্ঠা পাঁচ বছরের জন্য সাধারন ফি হচ্ছে ৩৫০০ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট ৫২৫ টাকা মোট চার হাজার ২৫ টাকা  আপনি সাধারণ ভাবে জমা দিয়ে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে পারবেন। জরুরী ভিত্তিতে ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ৫৫০০ টাকায় ৭% ৮২৫ টাকা ৬৩২৫ টাকা অতি জরুরী দুই দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে পারবেন সেক্ষেত্রে পরিশোধ করতে হবে ৭৫০০ টাকা । সাথে ১৫% ১২৫ টাকা মোট ৮৬২৫ টাকা। আর যদি আপনি ৪৮ পৃষ্টা ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পেতে চান তাহলে আপনাকে সাধারণ।

ফি পরিশোধ করে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে পারবেন সেক্ষেত্রে পাসপোর্টে ফ্রি হবে ৫ হাজার টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট ৭৫০ টাকা মোট পাঁচ হাজার ৭৫০ টাকা জরুরী ভিত্তিতে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ৭০০০টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট ১০৫০ টাকা অতি জরুরী  পাসপোর্ট পেতে হলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ৯০০০ টাকার সাথে ১৫ পারসেন্ট ভ্যাট ৪৫০ টাকা মোট ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।

আপনি যদি ৬৪ পৃষ্ঠা পাসপোর্ট পেতে চান ৫ বছর মেয়াদী তাহলে আপনাকে সাধারণভাবে পরিশোধ করতে হবে ৫৫০০ টাকায় ৭% ১২৫ টাকা মোট ৬ হাজার ৩২৫ টাকা দিয়ে ২০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে পারবেন জরুরী পাসপোর্ট ১০ দিনের মধ্যে পেতে হলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ৭৫০০ টাকা ১২৫ টাকা ৮৬২৫ টাকা।

অতি জরুরী দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ১০৫০০ টাকা সাথে ১৫% ভ্যাট ৭৫ টাকা। মোট ১২ হাজার ৭৫ টাকা যদি আপনি তো ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট পেতে চান তাহলে আপনি সাধারণ পরিষদ করে ২১ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে পারবেন।

আপনাকে সে ক্ষেত্রে পরিশোধ করতে হবে ৭০০০ টাকা থেকে১৫% ১০৫০ টাকা। জরুরি ১০ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে হলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ৯০০০টাকার ১৫% ভ্যাট ৪৫০ টাকা মোট ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।

যদি অতি জরুরী দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পেতে চান তাহলে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ১২ হাজার টাকার ১৫%।  ১৩ হাজার ৮00 টাকা। 

কিভাবে পরিশোধ করতে পারবেন একটা হচ্ছে সরাসরি ব্যাংকে পরিশোধ করা অন্যটি হচ্ছে অনলাইনে ।আপনি যদি পরিশোধ করতে চান তাহলে পরিশোধ করতে পারবেন ওয়ান ব্যাংক এশিয়া ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংকের যে কোন ব্রাঞ্চে যদি। আপনি অনলাইন থেকে টাকা পরিশোধ করতে চান তাহলে আপনি ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে মাস্টার কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট ফি পরিশোধ করতে পারবেন। অন্যদিকে আপনি মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস পে এর মাধ্যমে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করতে পারবেন।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

এখন আমরা জেনে নেবো পাসপোর্ট তৈরি করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। আপনি যদি একজন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে চান এবং আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয় তাহলে অবশ্যই আপনার একটা জাতীয় পরিচয় পত্র প্রয়োজন হবে এবং আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয়। তাহলে আপনার জন্য প্রয়োজন হবে অনলাইনে তৈরি করা জন্ম সনদ।

তবে আপনি যদি পাসপোর্ট করতে চান এবং আপনার বয়স যদি ১৮ বছরের কম তাহলে অবশ্যই আপনার আবেদনের সাথে আপনার বাবা এবং মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে। আপনি অনলাইন থেকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন তবে খেয়াল রাখবেন সাধারন এমআরপি পাসপোর্ট ফরম পূরণ করার জন্য সিস্টেম আছে সিস্টেম কিন্তু সম্পূর্ণরূপে আলাদা।  এবং ওয়েবসাইটের ঠিকানা সম্পূর্ণ আলাদা।

পাসপোর্ট এর জন্যপুলিশ ক্লিয়ারেন্স

পুলিশ ক্লিয়ারেন্সপুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট নিয়ে পাসপোর্ট আবেদনের অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অন্যথায় আপনি অতি জরুরী পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না।আপনি পুলিশ ভেরিফিকেশন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশনে দিয়ে দিবে  আপনার সেখান থেকে সরাসরি প্রবেশ করে আবেদন করতে পারবেন।  

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url