আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু জলের প্রয়োজন।

আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু জলের প্রয়োজন

আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু জলের প্রয়োজন।

আমরা প্রত্যেকে সুস্থ থাকার জন্য জল পান করে থাকি। কিন্তু কতোটুকু জল আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন আজকে আমরা সেই বিষয় নিয়ে জানবো।

আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু জলের প্রয়োজন

আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু জলের প্রয়োজনঃ


আমরা জানি যে প্রচুর জল খাওয়া নাকি শরীরের পক্ষে ভাল। আসলে আমাদের শরীরের জন্য কতটা জলের প্রয়োজন। আমরা কি কেউ জানি? বিষেশগদের মতে, এই জলের পরিমাণ প্রত্যেকের শরীরের একেকজনের একেকরকম বডি ওয়েট অনুসারে যার যতোটুকু জল প্রয়োজন সে ততোটুকু পান করবে। প্রথমে যেটা বলবো যে, লজিক দিয়ে ভাবুন আপনার যতটুকু ক্ষুধা পায় ততোটুকু  আপনি খান। যতক্ষণ ঘুম পায় ততক্ষণ আপনি ঘুমান। যখন আপনার প্রস্রাব পায় তখন আপনি প্রস্রাব করেন। কিন্তু জল খাওয়ার সময় তেষ্টা অনুসারে জল খাচ্ছেন না কেন? কারণ আমাদের প্রত্যেকের শরীরের রিকোয়ারমেন্ট এক না।  যেমন ধরুন ১০০ কেজি ওজন যাঁর, তাঁর যতটা জলের প্রয়োজন, ৬০ কেজি ওজন যার তার ততোটা জলের প্রয়োজন নাই। আবার ধরুন গ্রীষ্মে আপনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, আবার আপনি শীতের ঠান্ডায় বরফের দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জলের রিকয়ারমেন্ট কিন্তু ডিফরেন্ট হবে। সুতরাং আমরা যদি ভাবি যে, সঠিক একটা মাত্রা নিয়ে এতটা জল খেতে হবে, সেটা কিন্তু সঠিক না। কেননা শীতের সময় আমাদের জল তেষ্টা পায় কম। আবার গ্রীষ্মের সময় তেষ্টা পায় বেশি। ধরুন, একজন যদি একশ কেজি ওজনের লোক হয় তো তাঁদের ক্ষেত্রে প্রায় তিন লিটারের কাছাকাছি জলের দরকার হয়। আবার কারও যদি 60 কেজি হয় তাহলে 1.8 লিটার জল দরকার। আমি আবারো বলছি জল কিন্তু জল না, জল কিন্তু লিকুইড। এবার জলটা কিন্তু শুধু জল হিসেবেই যায় আমাদের শরীরে তা কিন্তু নয়। কারণ আপনি ডাবের জল খাচ্ছেন, চা খাচ্ছেন, দুধ খাচ্ছেন, ডাল খাচ্ছেন, ভিবিন্ন ফ্রুটস খাচ্ছেন। ফ্রুটসে  কিন্তু প্রচুর পরিমাণে জল থাকে তো এই জল গুলো কিন্তু আমাদের শরীরে ঢুকছে, 

অতিরিক্ত জল পান করলে কি কি ক্ষতি হয়।


আমরা যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জল খাই তখন কী হবে? বেশি জল খেলে আমাদের শরীরের অনেক কিছু প্রবলেম হতে পারে। যেমন, আমাদের শরীরের যে কিডনি সেটা ওভারহাইড্রেশন হওয়ার ফলে কিডনি ড্যামেজ হতে পারে, যাদের হার্ট এর প্রব্লেম আছে তাদের কিন্তু হার্টফেলও হতে পারে। যার লিভার প্রবলেম আছে তাদের কিন্তু "অ্যাসাইটিস" মানে পেটে জল জমতে পারে। এ ছাড়া যেটা সব থেকে বড়ো প্রব্লেম সেটা হচ্ছে যে আমাদের শরীরে রক্তে সোডিয়াম কমে যাবে। যেটাকে আমরা বলি হাইপোন্যাট্রিমিয়া এই হাইপোনেট্রিমিয়া হলে আমাদের কী হতে পারে আমাদের ব্রেনটা ঠিক করে কাজ করবে না। ইভেন আমাদের শরীরের যে পাওয়ার, আমাদের যে চিন্তাভাবনা করার ক্ষমতা বা আমাদের কর্মক্ষমতা এগুলো কমে যাবে। আপনার যদি সোডিয়ামের মাত্রা জল খাওয়ার কারণে ব্যাপক ভাবে কমে যায়, সেক্ষেত্রে একজন পেশেন্ট কোমায় চলে যেতে পারে। এবং বয়স বারার সাথে সাথে যাদের ইউরিনারি ব্লাডার বা প্রস্রাবের সমস্যা একটু একটু করে শুরু হয়েছে, তারা যদি জল খায় তখন তারা বারবার প্রস্রাব করবে। এবং পুরো প্রস্রাবের থলীটা খালিও হবে না। আবার  যাদের প্রস্রাবের ইনফেকশন আছে তাদের জল বেশি খেতে হবে। যাদের স্টন ডিজিজ আছে, তাদের বেশি জল খেতে হবে। আর জল বেশি খাবেন বলতে, আপনার নরমাল যে রিকয়ারমেন্ট তার থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ এম.এল বেশি খবেন।

 আমার রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে, একজন সুস্থ মানুষ   প্রতিদিন দু লিটার জল খাবেন। 

"ধন্যবাদ সবাইকে"


পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url