ব্যাংকের টাকা কে পাবে নমিনি নাকি উত্তরাধিকারী

ব্যাংকের টাকা কে পাবে নমিনি নাকি উত্তরাধিকারী

 ব্যাংকের টাকা কে পাবে নমিনি নাকি উত্তরাধিকারী

 ব্যাংকের টাকা কে পাবে নমিনি নাকি উত্তরাধিকারী ? এ ব্যাপারে আমাদের মহামান্য হাই কোর্ট ডিভিশনের 2016 সালে একটি যুগান্তকারী রায় প্রধান করেছেন। আজকে আমি মূলত আলোচনা করব৷ সেই রায়ের অবজার্ভেশনগুলো নিয়ে।


ব্যাংকের টাকা কে পাবে নমিনি নাকি উত্তরাধিকারী


অর্থাৎ মহামান্য হাই কোর্ট ডিভিশন কোন কোন ডাইরেকশন গুলো প্রদান করেছিলেন এবং মহামান্য হাই কোর্ট ডিভিশনের এই যুগান্তকারী রায়ের পরে বর্তমানে যে ধরনের কমপ্লিকেশন রাইস করছে সেই কমপ্লিকেশন গুলোকে অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করব। একটি সাকসেশন সার্টিফিকেটের জন্য করা মামলা থেকে এবং সেই মামলাটি ছিল মূলত একটি সঞ্চয়পত্রের মালিকানার জন্য। 

অর্থাৎ যে সঞ্চয়পত্রের যে মালিক ছিলেন তিনি মারা যাওয়ার পর সেই সঞ্চয়পত্রে টাকা মালিকানা কী ভাবে তাঁর উত্তরাধিকারীদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করা হবে৷ সেই মর্মে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাকসেশন সার্টিফিকেটের জন্য।

 দীর্ঘ যুগ্ম জেলা জজ আদালতে পরবর্তীতে সেই মামলাটি যখন যুগ্ম জেলা জজ আদালতে চলমান ছিল, তখন যে ডিসপার্সাল অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির স্ত্রী তিনি নিজেকে সঞ্চয়পত্রের যে সঞ্চিত টাকা তার পূর্ণ মালিক হিসেবে দাবী করেন।এবং তিনি বলেন যে এই যে সঞ্চয়পত্রে যে টাকা সঞ্চিত আছে তার মালিকানা সেটি সম্পূর্ণরূপে তার কারণ তিনি নমিনি। 

তাঁর এই দাবির ভিত্তিতে তিনি নিম্ন আদালত থেকে তিনি এই রায় প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে এই মামলাটি আপিল আকারে দায়ের করা হয়। জেলা জজের আদালতে সেখানেও ডিপেন্ডেন্ট তাঁর ফেভারিট মামলার রায়টি প্রাপ্ত হন। 

পরবর্তীতে 2015 সালে সিভিল রিভিশন নাম 1682 2050 আকারে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিভিশন মামলা দায়ের করা হয়।এই রিভিশন মামলার এই রায় প্রদান করা হয়ে থাকে 2016 সালে। সেখানেই মহামান্য হাই কোর্ট ডিভিশন একটি যুগান্তকারী রায় প্রদান করেন এবং মহামান্য হাই কোর্ট ডিভিশনের যে অবজার্ভেশনগুলো ছিল সেই অবজার্ভেশনগুলো অন্যতম একটি অবজারভেশন হচ্ছে, যে একজন নমিনি তিনি হচ্ছে মূলত ট্রাস্টি। তিনি (ওনার) নন বর্তমান আমাদের যে সমস্যাটি অ্যা রাইস করছে এই ব্যাঙ্কিং সেক্টরে। সেটি হচ্ছে নমিনিকে টাকা প্রদান করার ব্যাপারে মহামান্য হাই কোর্ট ডিভিশন। 

কিন্তু ব্যাংক কোম্পানিজ অ্যাক্ট কিংবা সঞ্চয়পত্র রিলেটেড যত মামলা যত আইন এবং বিধিমালা বিদ্যমান সমস্ত কিছু বিচার বিশ্লেষণ করার পর মহামান্য হাই কোর্ট ডিভিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। সেটি হচ্ছে ব্যাংকের সঞ্চিত টাকা বা আমানত যদি নমিনি বিদ্যমান থাকে। তাহলে ব্যাঙ্কের দায় দায়িত্ব হচ্ছে সেটি নমিনিকে হস্তান্তর করা। আর যদি কোনও নমিনি জীবিত না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সাকসেশন সার্টিফিকেটের মাধ্যমে যে কেউ অর্থাৎ উত্তরাধিকারীরাই সেই টাকা প্রাপ্ত হতে পারবেন। 

অর্থাৎ ব্যাংকের সুস্পষ্ট ডিরেকশন ছিল ব্যাংকের তার যে আমানতকারীর টাকা সবসময় নমিনিকে প্রদান করবে কিন্তু নমিনির দায়িত্বটা কী? 

তাহলে এখানে নমিনি কি সম্পূর্ণ টাকার মালিক হয়ে গেল? 

এখানে আমাদের যে দুটি জিনিসের মধ্যে পার্থক্য ভালো করে বুঝতে হবে সেটি হচ্ছে। টাকা প্রাপ্ত হওয়া এবং টাকার মালিক হওয়া এখানে হাই কোর্ট ডিভিশন তারা অবজারভেশনে বললেন যে নমিনি একজন মেয়ের ট্রাস্টি। অর্থাৎ টাকা তিনি প্রাপ্ত হবেন কথাটা ঠিক। 

ব্যাংকের টাকা কে পাবে নমিনি নাকি উত্তরাধিকারী

কিন্তু  আমাদের  মুসলিম দেশ হিসেবে আমাদের কিছু ইসলামিক বিধিবিধান আছে সে অনুযায়ী অ্যাপ্লিকেশন এর প্রযোজ্য আছে। 

অর্থাৎ আমরা উত্তরাধিকারী যাঁরা বিদ্যমান, তাঁরা যেহেতু মুসলমান এবং যিনি মারা গেছেন তিনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী সেক্ষেত্রে এই যে টাকা৷ সেই টাকার মালিকানা থেকে উত্তরাধিকারিদের কে বাদ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই আসে না।

এখানে সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব টা হচ্ছে নমিনির। অর্থাৎ যে ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করবে তিনি টাকাটি প্রাপ্ত হওয়ার পর অবশ্যই তাঁর উত্তরাধিকারীদের কে আনুপাতিক হারে বণ্টন করবেন।

 এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যদি তিনি আনুপাতিক হারে বণ্টন না করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে কি? সে ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারীরা অবশ্যই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন এবং তাদের আইনি পথ খোলা আছে৷ যে সেই আইনি পথের মাধ্যমে তারা নমিনিকে বাধ্য করতে পারবেন, তাঁদের যে হক আনুপাতিক হারে সেটি উত্তরাধিকারিদের কে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। 

আশা করি এ ব্যাপারে আপনারা সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পেরেছেন। তার পরও যদি কোনো ধরনের মিস কন্সেপশন থেকে থাকে কিংবা বুঝতে যদি কোনো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব আপনাদের উত্তর প্রদান করার জন্য

 ধন্যবাদ।

পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url