গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের উপায়।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের উপায়।
আমি পুষ্টিবিদ নাহিদ আহমেদ,গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের উপায়। এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেমন -
বুক জ্বালাপোড়া করার পর ঢেকুর ওঠা কোন খাবার খেতে গেলেই যেন অস্বস্তি অনুভব করা পেটের মধ্যে গুড়গুড় করা বা অতিরিক্ত একটু মশলাদার বাইরের খাবার খেলে অসহনীয় অনুভব করা। এই জাতীয় সমস্যায় আমরা কম বেশি সকলেই পেয়ে থাকি। এই সমস্যাটির সাথে আমরা অনেকেই কম বেশি পরিচিত, সেটি হচ্ছে এসিডিটি বদহজম বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। এখন এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের উপায় কী?
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের উপায়।
সবার প্রথমে যদি বলতে হয় যাদের এসিডিটি বা গ্যাসট্রিকের সমস্যা আছে, অবশ্যই বাইরের তেল, মশলা অতিরিক্ত গুরুপাক খাবার, অতিরিক্ত চটকদার মশলাদার খাবার বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসা পোড়া তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা এই জাতীয় খাবারের জন্যই কিন্তু আমাদের অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা দেখা দেয়।
বাহিরের খাবারে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
আমরা অনেকেই আবার দেখা যায় বাইরে থেকে কিনে নেই পুড়ি শিঙ্গাড়া আলুর চপ ডুবোতেলে ভাজা খাবার যেগুলো রাস্তার পাশ থেকে কিনে খায়, গুলো একই তেল দিয়ে বারবার ব্যবহার করা হয়। এখানে ট্রান্সপোর্ট তৈরি হয় যেগুলো পরবর্তীতে শরীরে গিয়ে আপনার যে ক্ষতি গুলো করে যেমন, রক্তের কোলেস্টরল লেভেল বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি আপনার শরীরে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসট্রিকের সমস্যা বাড়ার অন্যতম কারণ।
আবার বেকারির যে খাবার গুলো গ্রহণ করা হয় সে খান থেকেও কিন্তু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বা অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তো অবশ্যই যাঁদের এই জাতীয় সমস্যা তৈরি হয় তারা এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন।
পরবর্তীতে পানিকে গ্যাস্ট্রিকের প্রাকৃতিক সমাধান বলা হয়ে তাকে। নিয়মিত আপনি চেষ্টা করুন 10 থেকে 12 গ্লাস পানি গ্রহণ করার। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি অবশ্য গ্রহণ করবেন৷
অনেকেই আছেন সকালে ঘুম থেকে উঠে শেষে ব্রাশ করে খাবার গ্রহণ করতে চলে যানএতে করে গ্যাসট্রিকের সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে। এই কাজটি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস ফ্রেশ রুম টেম্পারেচারে রাখা পানি গ্রহণ করতে হবে। তারপরে আপনি অন্য যে খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করেন তা করবেন। তার মধ্যে আপনি পানি জাতীয় যে খাবার বা ফলমূল আছে সেগুলো খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। সেগুলো আপনার বডিকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করবে৷
আর শরীরে যদি হাইড্রেশন পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে বা শরীর হাইড্রেটেড থাকে সেগুলো কিন্তু দেখা যায় যে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা সমাধানে অনেক ভালো কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে।
আমাদেরকে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করতে হবে। অতিভোজন ভূরিভোজন করা যাবে না।
আমরা যখন খাবার গ্রহণ করি তখন হয়তো কর্মব্যস্ততার কারণে খাবার খাওয়া একটু অনিয়ম হয়ে যায়। যার ফলে খাবার গুলোকে অল্প অল্প করে বার বার খাওয়ার চেষ্টা করি আর সেই অল্প অল্প খাওয়ার মধ্যে আমরা অতিরিক্ত খাবার খেয়ে ফেলি।
যেগুলো দেখা যায় যে, আপনার শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে। আর খাদ্যতালিকায় আপনি টক দই রাখার চেষ্টা করতে পারেন। নিয়মিত যদি আপনি টক দই গ্রহণ করেন সেটি আপনার হজম প্রক্রিয়া ভালো রাখতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি সেটি আপনার অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা যারা ফেস করেন তাদের ক্ষেত্রে খুব ভালো একটি সলিউশন দিতে সাহায্য করবে।
খাবার গ্রহণ করার সাথে সাথে দেখা যায় অনেকেই খাবার খেয়ে শুয়ে পড়েন বা বসে থাকেন। এই বিষয়টিও এড়িয়ে চলতে হবে। খাবার গ্রহণ করার পরে 15-20 মিনিট হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করতে হবে। এতে আপনার খাবারটি হজম হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে আর খাবার হজম হলে সেটি আবার বদহজমজনিত সমস্যা থেকে অনেকাংশে সমাধান লাভ করাতে সাহায্য করে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণ ও উপায়।
অনেকেই আছেন রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়েন এতে আপনারা এসিডিটি তৈরী হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
সারাদিন আপনি যে খাবারগুলো গ্রহণ করবেন চেষ্টা করবেন বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসা খাবারের পরিবর্তে ঘরে তৈরি করা খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি একটি সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন সেটি আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। জীবনযাপনে পরিবর্তন না নিয়ে আসলে কখনোই সেটি অ্যাসিডিটির সমস্যার সমাধান করবে না। আর এমন স্পেসিফিক খাবার নেই যে খাবার খেলাম আর সেই ওষুধের মতো কাজ করল আসলে অ্যাসিডিটি বদহজম জনিত সমস্যা যাঁদের দেখা যায় গ্যাসট্রিকের সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের জন্য। আপনাকে জীবনযাপন কৌশলের মতপরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। তাহলে দেখা যাবে আপনি এই সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি লাভ করতে পারবেন।
দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।
comment url