কি কি লক্ষন থাকলে গর্বধারনের সমস্যা হয়

কি কি লক্ষন থাকলে গর্বধারনের সমস্যা হয়,/ গর্বধারন না হওয়ার কিছু লক্ষণ, / মাসিক অনিয়মিত হওয়া, মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া।

 কি কি লক্ষন থাকলে গর্বধারনের সমস্যা হয়।

আপনি যখনই বাচ্চা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন একটা চিন্তা আসে সফল হবো নাকি ব্যর্ত হবো। আর সফল হবার সম্ভাবনা কতটুকু সেটা নিয়ে আপনার যেন একটা বাস্তবসম্মত ধারণা তৈরি হয় সেই জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বাড়বে। 

গর্বধারন না হওয়ার কিছু লক্ষণ

১. সঠিক সময়ে সহবাস করা।

২. ওজন ঠিক রাখা। শরীরে যদি কোন রোগ থাকে তাহলে সে গুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা 

৩.ধূমপান না করা। 

এই কাজগুলো আপনাকে অনেক সহায়তা করবে।

 কী কী লক্ষণ দেখা দিলে গর্ভধারণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

ভয় পেয়ে যাবেন না। এই লক্ষণ থাকলে সন্তান হবে না তা নয়৷ এটা সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা মাত্র। 

এই লক্ষণগুলো থাকলে দেরি না করে আগে থেকে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন। আপনার হয়তো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা লাগতে পারে। 

একটু আগে থেকেই সন্তানের চেষ্টা করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে ভয়ের কিছু নয়, লক্ষণগুলো হলো।

১. যে নারী নিয়মিত মাসিক হয়, যদি সেটা তে কোনও পরিবর্তন আসে তখন তার একটা সমস্যা ইঙ্গিত করতে পারে। 

যেমন - মাসিক যদি অনিয়মিত হয়ে যায় কিংবা লম্বা সময় পরে পরে মাসিক হয় বা কয়েক মাস বন্ধ থাকে তাহলে নারী শরীরের প্রতি মাসে একটা করে ডিম ফোটে। সেখানে হয়তো সমস্যা হচ্ছে এটা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা পিসিওএস রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই রোগে নারীদের মুখে বুকে পিঠে অতিরিক্ত লোম দেখা দিতে পারে। ত্বক তেলতেলে হয়ে যেতে পারে পিম্পটম দেখা দিতে পারে। সবার সব লক্ষণ দেখা যায় না। তবে এই রোগটা সন্তান ধারণে সমস্যা হয়।

২. সবচেয়ে কমন কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো মাসিকের সময়ে যদি অনেক রক্ত যায় বা তলপেট খুব ব্যথা করে সেটা জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বা এক ধরনের টিউমারের লক্ষণ হতে পারে৷ এই টিউমার জরায়ুর গায়ে টিমকে অনেক সময় বুঝতে দেয় না ফাইবার। 

এর ফলে ডিম নালির মুখ আটকে যেতে পারে তাই ডিম টা জরায়ুতে পৌঁছায় না। এইসব কারণে সন্তান ধারণে সমস্যা হতে পারে।

আবার মাসিকের সময় তলপেটে অনেক ব্যথা হওয়া অনেক রক্ত যাওয়া এন্ডোমেট্রিওসিস নামে একটা রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই রোগের অন্যতম প্রধান জটিলতা হল গর্ভধারণের সমস্যা হওয়া এমন আরও কিছু রোগ আছে যার লক্ষণ দেখা দিলে আগে থেকেই চিকিৎসা প্রয়োজন। 

গর্বধারন না হওয়ার কিছু লক্ষণ

যেমন -

১. মাসিক অনিয়মিত হওয়া।

২. ৩৫ দিনের বেশি সময়ের পর পর মাসিক শুরু হওয়া।

 ৩. ২১ দিনের কম সময়ের পরে মাসিক শুরু হওয়া। 

৪.মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া। 

৫. মাসিকের সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়া। 

৬. মাসিকের সময় প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া। 

তাছাড়া আপনার যদি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় সেগুলো সন্তানধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে। 

যেমন থাইরয়েডের রোগ,এই রোগের লক্ষণগুলো হচ্ছে ক্লান্তি ওজন বেড়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।

অনেকেই জানেন না যে তাঁরা এই রোগে ভুগছেন কিনা। তাই আপনার যদি মনে হয় যে আপনি কোনও একটা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেবেন পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমলে সাধারণত বাইরে থেকে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। বীর্য পরীক্ষা করলে বোঝা যায়। তাই অনেকদিন সন্তানের চেষ্টা করার পরেও সফলতা নাও আসতে পারে। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। শীঘ্রই আবার কথা হবে।


পরবর্তী পোস্ট পূর্ববর্তী পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই
এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানান

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন - অন্যথায় আপনার মন্তব্য গ্রহণ করা হবে না।

comment url